1. rajubdnews@gmail.com : Somoyer Nur : Somoyer Nur
  2. abdunnur9051@gmail.com : SomoyerNur : Abdun Nur
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম
ঋণ-আমানতের সুদহারে সীমা তুলে নিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরের বশিকপুরে স্ত্রী-সন্তানদের আটকে রেখে ঘরে আগুন, প্রাণ গেলো দুজনের | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে বিচারকের নির্দেশে কাঠগড়ায় আসামিকে থাপ্পড়! | সময়ের নুর ডট কম নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট চালু | সময়ের নুর ডট কম লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জে কাভার্ডভ্যান-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১ | সময়ের নুর ডট কম পূর্ব বিরোধের জেরে ‘লোক ভাড়া করে’ প্রতিবেশীর ঘরে ডাকাতি পুরোনো শীতের কাপড় ও লেপ-কম্বল ব্যবহারের আগে যা করবেন | সময়ের নুর ডট কম সাংবাদিকদের সাথে লক্ষ্মীপুর সদর-৩ আসনে আ.লীগের এমপি প্রার্থীর মতবিনিময় | সময়ের নুর ডট কম ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়নের সময়সূচি পেছালো | সময়ের নুর ডট কম রাজধানীতে ১০ দিনে গ্রেফতার ১৮৮৪ | সময়ের নুর ডট কম

‘মাসিক কুঁড়েঘরে’ এবার তরুণীর মৃত্যু

প্রতিনিধি'র নাম
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
  • ১৩০ বার পঠিত হয়েছে

নেপালের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে ঋতুমতী নারীদের মূল বাড়ির বাইরে বানানো হয় এসব কুঁড়েঘর। যেগুলোর ছোট্ট একটি দরজা ছাড়া কোনো জানালা থাকে না। ফাইল ছবি: রয়টার্স

নেপালের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে ঋতুমতী নারীদের মূল বাড়ির বাইরে বানানো হয় এসব কুঁড়েঘর। যেগুলোর ছোট্ট একটি দরজা ছাড়া কোনো জানালা থাকে না। ফাইল ছবি: রয়টার্সনেপালে ঋতুমতী নারীদের জন্য তৈরি জানালাবিহীন ‘মাসিক কুঁড়েঘরে’ দমবন্ধ হয়ে মারা গেছেন ২১ বছরের এক তরুণী। তাঁর নাম পার্বতী বোগাতি। নেপালের দোতি জেলায় এ ঘটনা ঘটে।

পার্বতীর শাশুড়ি লক্ষ্মী বোগাতি বউকে দেখতে গিয়ে তাঁর লাশ পান। লক্ষ্মী কাঠমান্ডু পোস্টকে বলেন, ‘এক দিন পরই তাঁর ঋতুস্রাব শেষ হবে, এ নিয়ে সে খুব খুশি ছিল। কিন্তু অভাগী চিরতরেই চোখ বুজল।’

নেপালে প্রাচীন ‘চৌপাদি’ প্রথা অনুযায়ী মাসিকের সময় বা সন্তান জন্মদানের পরপর নারীদের ‘অশুদ্ধ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই সময় নারীরা দুর্ভাগ্য বয়ে আনতে পারেন বলে মনে করা হয়। তাই মাসিকের সময় নারীদের কুঁড়েঘরে বা গোয়ালঘরে থাকতে বাধ্য করা হয়।

ঋতুস্রাবের সময় মেয়েদের কিছু কিছু খাবারও খেতে দেওয়া হয় না। অনেক কিছু স্পর্শ করতে দেওয়া হয় না। তখন অন্যরা দূর থেকে তাদের পাতে খাবার ঢেলে দেয়। ফাইল ছবি: এএফপি

ঋতুস্রাবের সময় মেয়েদের কিছু কিছু খাবারও খেতে দেওয়া হয় না। অনেক কিছু স্পর্শ করতে দেওয়া হয় না। তখন অন্যরা দূর থেকে তাদের পাতে খাবার ঢেলে দেয়। ফাইল ছবি: এএফপিওই সময়ে নারীদের পুরুষ ও গরু-ছাগল স্পর্শ করাও নিষিদ্ধ। কিছু খাবার ও দেবতার মূর্তি স্পর্শ করতে দেওয়া হয় না। বাড়ির শৌচাগার ব্যবহার ও কোনো কিছু ধোয়ার সুবিধা দেওয়া হয় না। গ্রামে দূরত্ব রেখে হাঁটাচলা করতে বলা হয়। কিশোরীরা স্কুলে যেতে পারে না। প্রচণ্ড শীতেও মেয়েদের বাড়ির বাইরে রাখা হয়। অনেক সময় ওই মেয়েদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাও ঘটে।

মাসিকের সময় বা প্রসূতি মাকে বাড়ির বাইরে পাঠানোর ওপর ২০০৫ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নেপাল সরকার। ২০১৭ সালে এটিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এখনো এই কুসংস্কার চালু রয়েছে।

নেপালের আইন অনুসারে, কোনো নারীকে চৌপাদিতে বাধ্য করা হলে তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৩০ ডলার অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। অধিকারকর্মীরা আইনটির কঠোর প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved SOMOYERNUR
Theme Customized BY LatestNews